বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মাহাবুবুর রহমান শিকদারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সভাপতি পদ থেকে সাময়ীক বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহাবুবুর রহমান শিকদার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেছেন।
তবে মাধবপাশা আওয়ামীলীগের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি নান্টু তালুকদার ও তার সমর্থনকারী দলীয় কিছু অতি উৎসাহিত কর্মীরা বিষয়টিকে অন্য ইস্যু তৈরী করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মাহাবুবুর রহমান শিকদারকে ফাঁসানোর চেস্টা চালাচ্ছে তারা। সূত্রে জানা যায়,গত (৩০ এপ্রিল ) বুধবার সকালে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষের ত্রান-সাহায্য দেয়ার বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় মাহাবুবুর রহমান ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি নান্টু তালুকদারকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন,সভাপতি সাহেব আপনি নাকি আপনার ওয়ার্ড থেকে ৩/৪শ লোকের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও কম্পিউটার খরচের কথা বলে ৪০/৫০ টাকা করে নিয়েছেন।
ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছেন ভালো কথা টাকা নিলেন ক্যান! আবার কাউকেই এখনো কোনো ত্রান-সাহায্য দিতে পারেননি। এইসব কইরেন না ভাই এতে করে দলের মান সম্মান নস্ট হয়। পরবর্তীতে মাহাবুব শিকদারের এমন কথা শোনার পরে নান্টু তালুকদার মাহাবুব শিকদারের উপর হামলার উদ্দেশ্যে তেরে আসেন এবং কয়েকবার তার বুকে ধাক্কা দেয় নান্টু তালুকদার। একপর্যায় মাহাবুব শিকদার নিজেকে রক্ষার স্বার্থে নান্টু তালুকদারকে সরানোর জন্য ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পরে যায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি সদস্যরা তাদের দুজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় তখন ভুল বোজাবুজির অবসান হয় এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন ও সাধারন সম্পাদক হাফিজ আহম্মেদ স্বপনের সিদ্ধান্তে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মাহাবুবুর রহমান শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।এ ব্যাপারে মোঃ মাহাবুবুর রহমান শিকদার বলেন,চাল আত্মসাতের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন কিছু দিন আগে আমি আমার এলাকায় অসহায় গরীবদের নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪০/৫০ জন সাধারন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি,সেখানে ২বস্তা চাল আত্মসাতের ঘটনা কিভাবে সম্ভব।বুধবার আমার সাথে মাধবপাশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি নান্টু তালুকদারের সাথে ত্রানের তালিকা বাবদ কম্পিউটার খরচ উত্তলন ও বিবিধ বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়।
তারই সূত্র ধরে তারা তাদের নিজেদের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে নান্টু তালুকদারের সমর্থনকারী কিছু অতি উৎসাহীত লোক চাল চুরির অভিযোগে বহিষ্কারের কথা সাংবাদিক ভাইদের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং নিজেদের ফেইসবুক আইডিতে প্রচার করছে। আমি ওই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জনিত প্রচারনার নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আগামীতে আমি মাধপপাশা ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছি। একটি কুচক্রি মহল আমার মান ক্ষুন্ন করতে এবং মাধবপাশা ইউনিয়নে আমার রাজনৈতিক সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষে এসব করছে।
এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি নান্টু তালুকদার বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে সেইটা আপনারা এলাকার মানুষদের সাথে কথা বললেই আসল সত্য জানতে পারবেন। আমি কোনো ধরনের টাকা উঠাইনি বরং যাদের দেয়ার জন্য নামের তালিকা করছি সেইটা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জমা দিয়েছি। চেয়ারম্যান সাহেব লিস্টে নামের সংখ্যা বেশি দেখে কিছু মানুষের নাম বাদ দিয়ে যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তাদের দিয়েছে। পরবর্তীতে লিস্টে বাদ পড়া ব্যাক্তিদের দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন,৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি নান্টু তালুকদারের মধ্যে সাধারন একটা বিষয় নিয়ে তিন মঢ এলাকায় একটু ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহাবুব ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতিকে লাঞ্চিত করায় স্থানীয় সাক্ষীদের বক্তব্য এবং তদন্ত সাপেক্ষে মাহাবুবকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে নান্টু তালুকদারের ত্রান দেয়ার জন্য টাকা উঠানোর ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। যদি সেএরকম কোনো কার্যক্রম করে থাকে তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply